২১ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫৫ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল দেড় কোটি টাকা

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল দেড় কোটি টাকা

মসজিদের দানবাক্সে মিলল দেড় কোটি টাকা
বিডি ক্রাইম ডেস্ক॥ কিশোরগঞ্জ শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত দুই শতাব্দীরও অধিক প্রাচীন পাগলা মসজিদ। আজ শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জেলা শহরের ঐতিহাসিক এই পাগলা মসজিদের দানবাক্স হিসেবে ব্যবহৃত মোট আটটি লোহার সিন্দুক খুলে গণনা করে পাওয়া গেছে মোট ১ কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৪৯৮ টাকা। ৩ মাস ২০ দিন পর লোহার সিন্দুকগুলো খোলা হয়েছে।

তাছাড়াও পাওয়া গেছে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা এবং স্বর্ণাংলকার। গত ২৬ অক্টোবর দানবাক্স খুলে পাওয়া গিয়েছিলো ১ কোটি ৫০ লাখ ৮৪ হাজার ৫৯৮ টাকা।

এদিন সকাল ৯টা থেকে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. হাবীবুর রহমান, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফজলে রাব্বি, মাহমুদল হাসান, উবাইদুর রহমান সোহেল, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকতউদ্দিন ভুঁইয়া প্রমুখের সার্বিক তত্ত্বাবধানে টাকা বাছাই ও গণনার কাজ শুরু হয় এবং বিকাল পর্যন্ত টাকা গণনার কাজ চলে। মসজিদ সংলগ্ন নূরুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার শতাধিক ছাত্র-শিক্ষক, মসজিদ কমিটির লোকজন, আনসার বাহিনীর সদস্যরা টাকা বাছাইয়ের কাজে অংশ নেন। পরে রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ টাকাগুলো গুনে বুঝে নেন। পাগলা মসজিদের নামে রূাপালী ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট আছে। পরে প্রাপ্ত টাকা ব্যাংকের হিসাবে জমা দেওয়া হয়। সাধারণত ৩-৪ মাস পরপর এই সিন্দুকগুলো খোলা হয়।

পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকতউদ্দিন ভুঁইয়া জানান, প্রতিদিনিই গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, ডিম, দুধ থেকে শুরু করে উন্নয়ন কাজের জন্য সিমেন্টের বস্তা, নারিকেল, মোমবাতি, কোরআন শরীফ এমন কী চুন-বাতাসা, পান-সুপারি ইত্যাদিও জমা হয়। এইসব জিনিস প্রতিদিন বিকালে নিলাম ডাকের মাধ্যমে বিক্রি হয় এবং পরদিন প্রাপ্ত টাকা ব্যাংক হিসেবে জমা দেওয়া হয়।

এইসব জিনিস-পত্র বিক্রি করে প্রতিদিন দৈনিক গড়ে ৩০-৪০ হাজার টাকা আয় হয় বলে তিনি জানান। অন্য সম্প্রদায়ের লোকজনও এই মসজিদে এসে দান ও মানত করেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019